বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং রবি বাংলাদেশে প্রথম ক্রাউড-সোর্সড এবং এআই ভিত্তিক ডিজিটাল করোনা আপডেট সার্ভিস নিয়ে এসেছে।
দয়া করে সেল্ফ টেস্ট করুন এবং সম্ভাব্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে বাংলাদেশ সরকারকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সহায়তা করুন। সরবরাহিত তথ্য আমাদের বিশ্লেষকদের বিভিন্ন ইনোভেটিভ ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এক্সারসাইজ করতে ও ইনসাইট তৈরি করতে সহায়তা করবে যাতে করে সরকার অনায়াসে কাজ করে যেতে পারে। ডেটা অ্যানালিটিকস সল্যুশন ব্যবহার করে তৈরিকৃত প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য সরকার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করতে পারবে।
সমস্ত জেলা
এলাকা
সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ (১-৯)
ঝুঁকিপূর্ণ (১০-৯৯)
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ (১০০+)
লোকেশন | ফ্রিকুয়েন্সি |
---|---|
বাগেরহাট | ১০৩২ |
বান্দরবান | ৮৭১ |
বরগুনা | ১০০৮ |
বরিশাল | ৪৫৭১ |
ভোলা | ৯২৬ |
বগুড়া | ৯২৪০ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ২৭১৪ |
চাঁদপুর | ২৬০০ |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৮১১ |
চট্টগ্রাম | ২৮১১২ |
চুয়াডাঙ্গা | ১৬১৯ |
কক্সবাজার | ৫৬০৮ |
কুমিল্লা | ৮৮০৩ |
ঢাকা | ১৫৬৮০৮ |
দিনাজপুর | ৪২৯৫ |
ফরিদপুর | ৭৯৮১ |
ফেনী | ২১৮০ |
গাইবান্ধা | ১৪০৩ |
গাজীপুর | ৬৬৯৪ |
গোপালগঞ্জ | ২৯২৯ |
হবিগঞ্জ | ১৯৩৪ |
জামালপুর | ১৭৫৩ |
যশোর | ৪৫৪২ |
ঝালকাঠি | ৮০৪ |
ঝিনাইদহ | ২২৪৫ |
জয়পুরহাট | ১২৫০ |
খাগড়াছড়ি | ৭৭৩ |
খুলনা | ৭০২৭ |
কিশোরগঞ্জ | ৩৩৪১ |
কুড়িগ্রাম | ৯৮৭ |
কুষ্টিয়া | ৩৭০৭ |
লক্ষ্মীপুর | ২২৮৩ |
লালমনিরহাট | ৯৪২ |
মাদারীপুর | ১৫৯৯ |
মাগুরা | ১০৩২ |
মানিকগঞ্জ | ১৭১৩ |
মেহেরপুর | ৭৩৯ |
মৌলভীবাজার | ১৮৫৪ |
মুন্সিগঞ্জ | ৪২৫১ |
ময়মনসিংহ | ৪২৭৮ |
নওগাঁ | ১৪৯৯ |
নড়াইল | ১৫১১ |
নারায়ণগঞ্জ | ৮২৯০ |
নরসিংদী | ২৭০১ |
নাটোর | ১১৬২ |
নেত্রকোণা | ৮১৭ |
নীলফামারী | ১২৮০ |
নোয়াখালি | ৫৪৫৫ |
পাবনা | ১৫৪৪ |
পঞ্চগড় | ৭৫৩ |
পিরোজপুর | ১১৪৪ |
পটুয়াখালী | ১৬৬০ |
রাজবাড়ী | ৩৩৫২ |
রাজশাহী | ৫৬৮৭ |
রাঙ্গামাটি | ১০৯৮ |
রংপুর | ৩৮০৩ |
সাতক্ষীরা | ১১৪৭ |
শরীয়তপুর | ১৮৫৪ |
শেরপুর | ৫৪২ |
সিরাজগঞ্জ | ২৪৮৯ |
সুনামগঞ্জ | ২৪৯৫ |
সিলেট | ৮৮৩৭ |
টাঙ্গাইল | ৩৬০১ |
ঠাকুরগাঁও | ১৪৪২ |
লোকেশন | ফ্রিকুয়েন্সি |
---|---|
আব্দুল্লাহপুর | ৩৪ |
আদাবর | ৪১৮ |
আফতাবনগর | ৫৩ |
আগারগাঁও | ১৭২ |
আহমেদ নগর | ৬ |
আহমেদাবাগ | ২১ |
এয়ারপোর্ট | ৫৫ |
আমিনবাজার | ২ |
আমলাপাড়া | ২ |
আরামবাগ | ৩৮ |
আরমানিটোলা | ২৮ |
আসাদগেট | ১০ |
আশকোনা | ২২ |
আশুলিয়া | ২৭ |
আজিমপুর | ২৬৯ |
বাবু বাজার | ১৬৫ |
বাদামতলী | ৩ |
বাড্ডা | ৭০৩ |
বাগান বারী | ৫ |
বাহাদুর বাজার | ১ |
বেইলি রোড | ৭২ |
বনানী | ৩১৬ |
বনশ্রী | ৩৩৫ |
বাংলামটর | ৩৬ |
বংশাল | ২১২ |
বানিয়ানগর | ১ |
বারিধারা | ১৫১ |
বাসাবো | ৩৮৭ |
বসুন্ধরা | ৩৭৪ |
বেগম বাজার | ১১ |
বেগুনবাড়ী | ৪ |
বেড়িবাঁধ | ১ |
বিজয়নগর | ১৮ |
বকসি বাজার | ২৮ |
বসিলা | ৭ |
বুয়েট এরিয়া | ৩ |
ক্যানটনমেন্ট | ২৪৭ |
সেন্ট্রাল রোড | ৩৭ |
চানখারপুল | ৭৬ |
চক বাজার | ১৫৪ |
দক্ষিণ খান | ১৯৩ |
দনিয়া | ৭২ |
ডেমরা | ২৫৩ |
ঢাকেশ্বরী | ২ |
ঢালপুর | ২৯ |
ধানমন্ডী | ১৫৭৯ |
ধোলাইখাল | ৬ |
ধোলাই পার | ২৩ |
দয়াগঞ্জ | ৮ |
এলিফ্যান্ট রোড | ১২১ |
ইংলিশ রোড | ৫ |
ইস্কাটন | ১৮০ |
ফকিরাপুল | ২২ |
ফরিদাবাদ | ২৫ |
ফার্মগেট | ১৭৯ |
ফরাশগঞ্জ | ৪ |
ফুলবাড়িয়া | ৩৩ |
গাবতলী | ১৮ |
গাউসিয়া | ১৯ |
গেন্ডারিয়া | ৩০১ |
গোলাপবাগ | ৩৬ |
গোলারটেক | ৩ |
গনকতলী | ৬ |
গোপীবাগ | ৭১ |
গোড়ান | ১০৯ |
গ্রীন রোড | ২১৩ |
গুদারাঘাট | ২ |
গুলবাগ | ৯ |
গুলিস্তান | ১৭ |
গুলশান | ৯৫১ |
হাজীপাড়া | ৯ |
হাতির ঝিল | ৫৪ |
হাতিরপুল | ৯৬ |
হাতখুলা | ৫ |
হাজারীবাগ | ২৬১ |
ইব্রাহিমপুর | ৩১ |
ইন্দিরা রোড | ১৬ |
ইসলাম বাগ | ১৫ |
ইসলামপুর | ৩২ |
জেল গেট | ২ |
যাত্রাবাড়ী | ৯৪৩ |
জিগাতলা | ১৩২ |
জিঞ্জিরা | ২ |
জুরাইন | ১০৭ |
কাফরুল | ৩৩৬ |
কাজলা | ৪ |
কাকরাইল | ৩৪৩ |
কলাবাগান | ৩৩৩ |
কল্যাণপুর | ১৭০ |
কমলাপুর | ৯৫ |
কামরাঙ্গীরচর | ৯৬ |
কাঁচপুর | ৬ |
কাটাশপুর | ২ |
কাঁঠাল বাগান | ২৩৬ |
কাওরান বাজার | ৫২ |
কাজী পাড়া | ৩৫ |
খিলগাঁও | ৯২৭ |
খিলক্ষেত | ২৪৮ |
কচুক্ষেত | ২৩ |
কদমতলী | ৯৪ |
কোল্টা বাজার | ১ |
কোনাপাড়া | ১০ |
করাতিতলা | ১ |
কোসাইটুলী | ২ |
কোতওয়ালি | ৭৫ |
কুড়িল | ৫০ |
কুতুবখালি | ৮ |
লালবাগ | ৫২৯ |
লালকুঠি | ১৫ |
লালমাটিয়া | ১৬৬ |
লক্ষ্মীবাজার | ৫৭ |
মাদারটেক | ২৯ |
মালিবাগ | ৩৬৬ |
মালিটোলা | ৮ |
মান্দা | ৭৫ |
মানিকদি | ১ |
মানিকনগর | ১০১ |
মাটিকাটা | ৯ |
মাতুয়াইল | ৫১ |
মেরাদিয়া | ১৮ |
মেরুল | ৫ |
মিন্টু রোড | ১১ |
মির হাজির বাগ | ৯ |
মিরপুর | ৩৪৯৮ |
মিরপুর-১ | ১৩৩ |
মিরপুর-১০ | ৬১ |
মিরপুর-১১ | ৭৭ |
মিরপুর-১২ | ১১২ |
মিরপুর-১৩ | ২৪ |
মিরপুর- ১৪ | ৬৯ |
মিরপুর-২ | ১০৫ |
মিরপুর-৬ | ৩৫ |
মিরপুর-৭ | ৯ |
মিটফোর্ড | ৭৮ |
মগবাজার | ৬০৬ |
মহাখালী | ৮০১ |
মোহাম্মাদপুর | ১৬৪১ |
মোহনপুর | ৮ |
মনিপুর | ৪০ |
মতিঝিল | ৩৮২ |
মৌচাক | ১২ |
মুগদা | ৯৪২ |
নাবিস্কো | ১ |
নাখালপাড়া | ৯১ |
নন্দী পাড়া | ২০ |
নারিন্দা | ৮১ |
নবাবগঞ্জ | ৪ |
নবাবপুর | ১২ |
নয়া বাজার | ৭১ |
নয়া পল্টন | ১৪ |
নাজিরা বাজার | ১০ |
নীমতলী | ১২ |
নিউ মার্কেট | ১৪৭ |
নিকেতন | ৬১ |
নিকুঞ্জ | ৪৩ |
নীলক্ষেত | ২৭ |
পাকিপাড়া | ৩৮ |
পল্লবী | ৩২০ |
পল্টন | ৩১০ |
পান্থপথ | ৭০ |
পিরের বাগ | ২৫ |
পরীবাগ | ৫৭ |
পোস্তগোলা | ২১ |
পুরানা পল্টন | ৩৩ |
রাজাবাজার | ১৫২ |
রাজারবাগ | ২৫৮ |
রমনা | ৫৩৪ |
রামপুরা | ৯৫৬ |
রসুল বাগ | ৫ |
রসুলপুর | ৯ |
রায়েরবাগ | ৪২ |
রায়ের বাজার | ১১৬ |
রুপ গঞ্জ | ৫ |
রূপনগর | ৪৬ |
সবুজবাগ | ৩৩৩ |
সদরঘাট | ১৪ |
শাহজাদপুর | ৩৪ |
শাহজাহানপুর | ৩৩৮ |
শংকর | ৬ |
সায়েদাবাদ | ৩০ |
সায়েন্স ল্যাব | ১ |
সেগুনবাগিচা | ১০৫ |
সেনপাড়া | ৭ |
শাহ আলি বাগ | ৩ |
শাহবাগ | ৩২৩ |
শাঁখারি বাজার | ৩৭ |
শ্যামপুর | ৫৯ |
শঙ্কর | ৭ |
শান্তিবাগ | ৬৮ |
শান্তিনগর | ২৫২ |
শ্যামলী | ২১০ |
শেখেরটেক | ৩২ |
শের-এ-বাংলা নগর | ৩০৪ |
শেওড়াপাড়া | ৩৬ |
শহীদ নগর | ১৭ |
শোয়ারি ঘাট | ৫ |
সিদ্ধেশ্বরী | ১০৩ |
সিপাহীবাগ | ৫ |
শনির আখড়া | ৭০ |
সুত্রাপুর | ১৬৯ |
স্বামীবাগ | ৬৪ |
তাল্লাবাগ | ৬ |
তালতলা | ২৫ |
তাতীবাজার | ২৭ |
তেজগাও | ৭৫৬ |
তেজকুনিপাড়া | ২৭ |
তেজতুরী বাজার | ১৯ |
টিকাটুলি | ৯০ |
টোলারবাগ | ৩১ |
টঙ্গী | ২৪ |
তুরাগ | ২২ |
উর্দূ রোড | ১ |
উত্তরা | ১৮৩৯ |
ভাসানটেক | ২২ |
ভাটারা | ৩৩১ |
ওয়ারী | ৩৭১ |
আপনি অন্য কারো পক্ষ থেকেও এই এসেস্মেন্টটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে
সম্ভাব্য করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য শেয়ার করুন
করোনাভাইরাস হল ভাইরাসের একটি বৃহত সমষ্টি যার ফলে প্রাণী অথবা মানুষ রোগাক্রান্ত হতে পারে। মানুষের মধ্যে বেশ কয়েক ধরণের করোনভাইরা সাধারণ শৈত্যপ্রবাহ থেকে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (MERS) এবং সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (এসএআরএস) এর মতো আরও মারাত্মক রোগ থেকে শুরু করে শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ ঘটায় বলে জানা যায়। সাম্প্রতিক সন্ধান পাওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত করোনভাইরাস রোগটি COVID-19 নামে পরিচিত।
COVID-19 ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। COVID-19 এ আক্রান্ত ব্যক্তি কাশ দিলে অথবা শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়লে তা অন্য ব্যক্তির নাক বা মুখের ছোট ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে বেড়িয়ে আসা জীবাণুযুক্ত ফোঁটাগুলি ব্যক্তিটির চারপাশে বিভিন্ন বস্তু এবং মেঝেতে পড়ে থাকে। অন্য কেও যখন এসব বস্তু বা মেঝে যখন স্পর্শ করে এবং তাদের চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে তখন তারা COVID-19 দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। COVID-19 আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তখন অন্য কোন ব্যক্তি যদি নিঃশ্বাসও গ্রহণ তাতেও সে ব্যক্তি COVID-19 এ আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
কোভিড-১৯ কীভাবে ছড়াচ্ছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিসার্চ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবশ্যই WHO-এর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আপডেট জানিয়ে দেয়া হবে।
COVID-19 ভাইরাসটি কি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে?
আজ অবধি অধ্যয়ন থেকে বোঝা যায় যে COVID-19 ভাইরাসটি বাতাসের পরিবর্তে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে বেরিয়ে আসা ড্রপলেট থেকেই বেশি ছড়ায়। "COVID-19 কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে?" এ বিষয়ে আগের উত্তরটি দেখুন।
COVID-19 এমন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ছড়াতে পারে যার মধ্যে ভাইরাসের কোন লক্ষণ নেই?
এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার প্রধান উপায় হ'ল হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট। কোন লক্ষণ নেই এমন কারো কাছ থেকে COVID-19 ছড়ানোর ঝুঁকি খুব কম তবে, COVID-19 এ আক্রান্ত অনেক লোকই কেবল হালকা লক্ষণ অনুভব করেন। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে এটি বিশেষভাবে সত্য। অতএব এমন কারো কাছ থেকে COVID-19 ছড়ানো সম্ভব, উদাহরণস্বরূপ, যিনি কেবল হালকা কাশিতে আক্রান্ত কিন্তু কোনরকম অসুস্থতা বোধ করছেন না। কোভিড-১৯ কীভাবে ছড়াচ্ছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিসার্চ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবশ্যই WHO-এর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আপডেট জানিয়ে দেয়া হবে।
COVID-19 এ আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে কী ভাইরাসটি ছড়াতে পারে?
সংক্রামিত ব্যক্তির মল থেকে COVID-19 ছড়ানোর ঝুঁকি কম। প্রাথমিক ইনভেস্টিগেশনে দেখা গেছে ভাইরাসটি কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির মলে উপস্থিত থাকতে পারে তবে ভাইরাসটি বিশাল পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এটি প্রধান বৈশিষ্ট্য নয়। কোভিড-১৯ কীভাবে ছড়াচ্ছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিসার্চ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবশ্যই WHO-এর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আপডেট জানিয়ে দেয়া হবে। তবে এটি একটি ঝুঁকি, তাই, বাথরুম ব্যবহার করার পরে এবং খাওয়ার আগে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করে নিন।
COVID-19 এর সাধারণ লক্ষণগুলি হল জ্বর, ক্লান্তি এবং শুকনো কাশি। কিছু রোগীর সারা শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, গলা ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে। এই লক্ষণগুলি সাধারণত হালকাভাবে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে। কিছু লোক সংক্রামিত হয় তবে তাদের মধ্যে রোগের কোন লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় না এবং এরা অসুস্থ বোধ করে না। বেশিরভাগ লোক (প্রায় ৮০%) বিশেষ চিকিত্সার প্রয়োজন ছাড়াই রোগ থেকে সেরে ওঠে। COVID-19 আক্রান্ত প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করে। বয়স্ক ব্যক্তি এবং উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা বা ডায়াবেটিসের মতো রোগীদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। জ্বর, কাশি এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এমন ব্যক্তিদের চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
COVID-19 প্রাদুর্ভাবের সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে, WHO-এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং আপনার জাতীয় এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিন। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশ COVID-19 এর সম্মুখীন হয়েছে এবং বেশিরভাগই এর প্রাদুর্ভাব দেখেছে। চীন এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধীরগতিতে নিয়ে আসতে বা বন্ধ করতে সফল হয়েছে। যাইহোক, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সর্বশেষ খবর নিয়মিত চেক করুন।
আপনি কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে সংক্রামিত হওয়া বা COVID-19 ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারেন:
অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে আপনার হাত ঘষে ভালমতো নিয়মিত পরিষ্কার করুন বা সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কেন? অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ভালমতো হাত পরিষ্কার করলে হাতে থাকা ভাইরাস মরে যায়।
হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত এমন ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
কেন? যখন কেও হাঁচি-কাশি দেয় তার নাক-মুখ থেকে লিকুইড ড্রপলেট নির্গত হয়। আপনি যদি সে ব্যক্তির খুব কাছাকাছি থাকেন তবে আপনার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির লিকুইড ড্রপলেট আপনার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। যদি উক্ত ব্যক্তি COVID-19 এ আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে তা আপনার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে।
চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
কেন? হাত দিয়ে অনেক ধরণের বস্তু স্পর্শ করা হয় যা ভাইরাস যুক্ত হতে পারে। এসব ভাইরাস হাত থেকে নাকে-মুখে স্পর্শ করার মধ্য দিয়ে আপনার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে এবং আপনাকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে।
আপনি এবং আপনার চারপাশের লোকেরা রেসপিরেটরি হাইজিন মেনে চলেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন। এর মানে আপনি যখন কাশি বা হাঁচি দেন তখন আপনার বাঁকানো কনুই বা টিস্যু দিয়ে আপনার মুখ এবং নাক ঢেকে রাখার বিষয়ে আপনি সচেতন এবং আপনি তা মেনে চলেন। এরপর দ্রুত আপনার ব্যবহৃত টিস্যুটি ফেলে দিন।
কেন? ড্রপলেট ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত হাইজিন মেনে চলে আপনি আপনার আশেপাশের লোকজনকে বিভিন্ন রকমের ভাইরাস যেমন ঠাণ্ডা, ফ্লু এবং COVID-19 থেকে রক্ষা করতে পারেন।
অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকুন। আপনার যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয় তবে ডাক্তারের সহায়তা নিন এবং আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আগেই কল করে অবগত করুন।
কেন? জাতীয় ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বাধিক সময়োপযোগী তথ্য থাকবে। আপনার স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীকে আগে থেকে কল করে আপনার সম্পর্কে জানিয়ে দিলে তারা দ্রুত আপনার সঠিক স্বাস্থ্য সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সমর্থ হবে। এটি একদিকে যেমন আপনাকে রক্ষা করবে একইসাথে ভাইরাস এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করবে।
COVID-19 সম্পর্কিত সকল লেটেস্ট তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন বিশেষ করে যে শহরে বা এলাকায় দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে তারা। সম্ভব হলে ঘরের বাইরে যাতায়াত বন্ধ করে দিন - বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট অথবা লাঞ্জের রোগ রয়েছে।
কেন? এসব এলাকায় আপনার COVID-19 হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
যেসব ব্যক্তি COVID-19 ছড়িয়ে পড়ছে এমন এলাকায় সম্প্রতি বা গত ১৪ দিন পরিদর্শন করেছেন এমন ব্যক্তিদের সুরক্ষা ব্যবস্থা
উপরে বর্ণিত গাইডেন্স অনুসরণ করুন (প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা)
আপনি যদি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন, এমনকি হালকা সিন্ড্রোম যেমন মাথাব্যথা, অল্প জ্বর (৩৭.৩ সেন্টিগ্রেড বা তার বেশি) এবং সর্দি দেখা দেয় তবে সেরে না ওঠা পর্যন্ত নিজেকে ঘরের মধ্যে জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখুন। প্রয়োজন হলে কারো সহায়তা নিন বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনার ক্ষেত্রে অথবা বাইরে যদি যেতেই হয় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং অন্যান্যদের আক্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
কেন? অন্য কারো সাথে যোগাযোগ এড়িয়ে চললে COVID-19 ছড়ানো থেকে এবং অন্য লোকদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে আরো ভালভাবে রক্ষা করা সম্ভব।
আপনি যদি জ্বর, কাশ এবং শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে দ্রুত ডাক্তারের সহায়তা নিন কেননা এসব লক্ষণ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ফলেও আপনার মধ্যে দেখা দিতে পারে। আগেই কল করে আপনার স্বাস্থ্যসেবককে জানিয়ে দিন আপনি সাম্প্রতিক কোথায় ভ্রমন করেছেন বা কাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন সে সম্পর্কে।
কেন? আপনার স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীকে আগে থেকে কল করে আপনার সম্পর্কে জানিয়ে দিলে তারা দ্রুত আপনার সঠিক স্বাস্থ্য সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সমর্থ হবে। এটি একদিকে যেমন আপনাকে রক্ষা করবে একইসাথে ভাইরাস এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করবে।
১৬২৬৩ (কর মুক্ত)